পোলাও এমন একটি খাবার, যেটি ছাড়া আমরা অতিথি আপ্যায়ন, উৎসব পালন অথবা বিভিন্ন পারিবারিক, ধর্মীয় অথবা সামাজিক যে কোন অনুষ্ঠানের আয়োজনের কথা চিন্তা করতে পারি না। যে কোন উৎসব উদযাপন মানেই পোলাও, কোরমা, রোস্ট এ যেনো বাংগালী জাতীর সংস্কৃতিরই একটি অংশ হয়ে দাড়িয়েছে। চলুন দেখে নেই কিভাবে ঝটপট ঝরঝরে পোলাও রান্না করা যায়, কোন ঝামেলা ছাড়াই।
পোলাও রান্নার উপকরণঃ
আতপ চাল/পোলাও চালঃ ১ কেজি
পেয়াজ কুচিঃ ২.৫ কাপ
সাদা এলাচঃ ৪টি
দারচিনিঃ বড় ২ টুকরা
তেজপাতাঃ ২/৩ টা
লবঙ্গ ঃ ৪/৫ টা
গোল মরিচঃ ৪/৫ টা
বাদাম/কিসমিসঃ ইচ্ছা মতো
সয়াবিন তেলঃ ২ কাপ
লবনঃ ১ চা চামচ
আদা বাটাঃ ১/২ চা চামচ
রসুন বাটাঃ ১/২ চা চামচ
কাচামরিচঃ ৪/৫ টা
পানিঃ পরিমাণ মত
রেসিপি –
পোলাও রান্নার হাড়ি চুলায় বসিয়ে চুলা জ্বালিয়ে দিন। হাঁড়িতে সয়াবিন তেল দিতে হবে। তেলটা একটু গরম হলে তাতে তেজপাতা, এলাচ, দারচিনি, লবঙ্গ এবং গোলমরিচ দিন। একটু নাড়াচাড়া করতে হবে। এবার পেঁয়াজ কুচি গুলো ছেড়ে দিতে হবে। পেয়াজ গুলো লাল না হওয়া পর্যন্ত ভাজতে হবে।
লাল হয়ে গেলে ৩ ভাগের ২ ভাগ পেঁয়াজ তুলে নিতে হবে। এই পেঁয়াজ গুলো পরে ব্যবহার করা হবে। আর হাঁড়িতে যেটুকু অবশিষ্ট থাকলো তার ভিতরে আগে থেকে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে রাখা পোলাও চাল গুলো ঢেলে দিতে হবে। চালগুলো ভালো ভাবে নাড়াচাড়া করে ভেজে নিতে হবে। খুব সুন্দর একটা ঘ্রাণ আসবে এসময়।
এ পর্যায়ে আদা বাটা, রসুন বাটা এবং লবণ দিয়ে দিন। ভালোভাবে নাড়াচাড়া করে চালটা কষিয়ে নিতে হবে। চালটা যখন সাদা হয়ে যাবে তখন বুঝবেন ভাজা হয়ে গেছে। এই পর্যায়ে ২ কাপ তরল দুধ এবং পানি দিয়ে দিতে হবে চাল সিদ্ধ হওয়ার জন্য।
মনে রাখতে হবে……
নতুন চাল হলে ১ কেজি চালের জন্য ১.৫ কেজি পানি ব্যবহার করবেন। তরলের পরিমাণ দুধ সহ ১.৫ কেজি হবে। এবং পুরাতন চাল হলে ১ কেজি চালের জন্য দুধ সহ ২ কেজি পানি। এই নিয়মে রান্না করলে পোলাও হবে ঝরঝরে। তবে চালের ধরন অনুযায়ী পানির পরিমাণ কম বেশি হতে পারে। এবং চুলার আচ অবশ্যই মিডিয়ামে রাখতে হবে।
এর মধ্যে গোটা মরিচ ৪/৫ টা ছেড়ে দিন। বাদাম এবং কিসমিস গুলোও দিয়ে দিন। এবার ঢেকে দেয়ার পালা। ঢাকনা দিয়ে ৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। ৫ মিনিট পর ঢাকনা আলগা করুন এবং পোলাও টা আর একটু নাড়াচাড়া করে আবার ঢেকে দিন। এবার চুলার জ্বাল আরও কমিয়ে দিন। পানি শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। খুব বেশি হলে ১০ মিনিট সময় নিবে পানি গুলো শুকিয়ে আসতে।
পানি শুকালে চুলার জ্বাল বন্ধ করে দিন। পেঁয়াজ বেরেস্তা গুলো পোলাও এর উপর ছড়িয়ে দিয়ে আবার ঢেকে রাখুন ১০/১৫ মিনিট। এভাবে ঢেকে রাখলে অসাধারন একটি সুঘ্রান আসবে। সাথে ২/১ চামচ ঘি ছড়িয়ে দিলে যোগ হবে আলাদা মাত্রা।
কিছুক্ষন বাদে সার্ভিং ডিশে ঢেলে গরম গরম পরিবেশন করুন ঝরঝরে এবং সুস্বাদু পোলাও।
কাটা মসলার মাংসের সাথে পোলাও এর স্বাদ সহজে ভুলবার নয়। মেন্যুকে আরও সমৃদ্ধশালী করতে পারে ফিশ ফিংগার, চিকেন সিংগাপুর, বীফ বল কিংবা পটেটো সালাদের মত মজাদার কোন রেসিপি।
Pingback: কাটা মসলার মাংস - Rannabari.xyz
Pingback: চিকেন সিঙ্গাপুর - অন্যরকম চিকেন রেসিপি - Rannabari.xyz
Pingback: ফিস কাটলেট - থাকবেনা মাছের গন্ধ একদমই - Rannabari.xyz
Pingback: বিফ বল - Rannabari.xyz
Pingback: ফিশ ফিংগার - Rannabari.xyz
Pingback: পটেটো সালাদ - মেন্যুতে যোগ করবে ভিন্ন মাত্রা - Rannabari.xyz